বিএমইউতে ‘মাল্টিপল মায়েলোমা চিকিৎসায় অগ্রগতি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক সেশন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে প্রমাণভিত্তিক ক্লিনিক্যাল অনকোলজি লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘মাল্টিপল মায়েলোমা চিকিৎসায় অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক একাডেমিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ক্লিনিক্যাল অনকোলজী বিভাগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের (এমজিএইচ) হেমাটোলজিস্ট ও মেডিকেল অনকোলজিস্ট প্রফেসর ডা. অ্যান্ড্রু রবার্ট ব্রানাগান, এমডি, পিএইচডি। তিনি মাল্টিপল মায়েলোমার সর্বাধুনিক চিকিৎসা, ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, কার-টি সেল থেরাপি, টক্সিসিটি ম্যানেজমেন্ট এবং সারভাইভারশিপ কেয়ার বিষয়ে সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহরীন আখতার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনোমিক্স, বায়ো-ব্যাংক, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, প্যালিয়েটিভ কেয়ার এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই বিএমইউতে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। তিনি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন।
এ সময় ক্লিনিক্যাল অনকোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা সৈয়দ মো আকরাম হোসেন বিএমইউতে জাতীয় মানের ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবিত ইনস্টিটিউটের আওতায় থাকবে—মলিকিউলার অ্যান্ড জেনোমিক রিসার্চ, ক্যান্সার বায়ো-ব্যাংক ও ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইউনিট, এআই অ্যান্ড ডিজিটাল অনকোলজি এবং আইএনএমএএস–বিএমইউ নিউক্লিয়ার মেডিসিন ব্রাঞ্চ (পিইটি-সিটি, এসপেক্ট, রেডিওনুক্লাইড থেরাপি)।
এ ছাড়া গাইনী অনকোলজি, পেডিয়াট্রিক হেমাটো-অনকোলজি, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন,হেমাটোলজি, অনকোলজী,হেড-নেক অনকো সার্জারি, নিউরো-অনকোলজি, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন, রেডিওলজি,প্যাথলজির ও পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স সমন্বিত গবেষণার পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেন।
হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুজ্জমান খান ও ক্লিনিক্যাল অনকোলজী, হেমোটলজী বিভাগের রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএমইউ এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ, কম্বাইন্ড মিলিটারী হাসপাতাল,জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট এর এফসিপিএস ও এমডি রেসিডেন্টরাও অংশ নেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হলে দেশে আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং গবেষণা নির্ভর ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় ধরনের অগ্রগতি আসবে।
তথ্য সহায়তায়: ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগ।
সংবাদ প্রকাশে: প্রশান্ত মজুমদার।