
বিএমইউতে ১৭৯তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস উদযাপন ২০২৫ উদযাপিত
16 Oct, 2025 08:00 AM - 17 Oct, 2025 12:00 AM |
বিএমইউতে আইসিইউতে সেবাদানকারী চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে
১৭৯তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস উদযাপন ২০২৫ উদযাপিত
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)তে আইসিইউতে সেবাদানকারী চিকিৎসকসহ এ্যানেসথেশিওলজিস্টদের অংশগ্রহণে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অত্যন্ত পুরানো দিবস ১৭৯তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস উদযাপন ২০২৫ র্যালি ও সেমিনারসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। আজ ১৬ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখ সকালে বিএমইউ এর এ এবং বি ব্লকের সম্মুখ প্রাঙ্গণ বটতলায় দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত র্যালির প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। এসময় সম্মানিত প্রো-ভাইস (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএমইউ এর এ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মোস্তফা কামাল, ১৭৯তম ওয়ার্ল্ড এ্যানেসেথেশিয়া ডে ২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. হাসনুল আলম শামীম, সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এ্যানেসথেসিওলজিস্টস ক্রিটিকেল কেয়ার এন্ড পেইন ফিজিশিয়ানস এর উদ্যোগে বিএমইউ এর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে সোসাইটির নেতৃবৃন্দসহ এ্যানেসথেসিওলজিস্টগণ অংশগ্রহণ করেন। এখানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সম্মানিত সভাপতি বিশিষ্ট এ্যানেসথেশিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মোঃ জহিরুল ইসলাম (শাকিল), বিএসএসিসিপিপি এর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক।
গুরুত্বপূর্ণ এই বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে জাতীয়, আঞ্চলিকসহ বরেণ্য চিকিৎসকগণ উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অর্জিত উৎকর্ষতা তথা দক্ষতা ও জ্ঞান বিনিময় করেন। যার মাধ্যমে এ দেশের চিকিৎসাসেবাকে আরো এগিয়ে নিতে এ্যানেসথেসিওলজিস্টগণ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবেন বিশেষজ্ঞগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ বলেন, আইসিইউতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ অপারেশন থিয়েটার ওটিতে এ্যানেসথেশিওলজিস্টগণ বিরাট অবদান রাখেন। গত ৩০ বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এ্যানেসথেসিওলজি শাখায় অভাবনীয় উন্নয়ন ও পরিবর্তন হয়েছে। তবে এখনও দেশের প্রয়োজনের তুলনায় এ্যানেসথেশিওলজিস্টদের সংখ্যা অনেক। তাই এ্যানেসথেশিওলজিস্টদের প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি ও পদায়ন এখন সময়েরই দাবি।
বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. লুৎফুল আজিজ, ডা. উজ্জল কুমার মল্লিক, ডা. মোঃ এনামুল হক মিল্টন। তারা সড়ক দুর্ঘটনাসহ দুর্ঘটনায় আহতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সেবা প্রদানে এ্যানেসথেশিওলজিস্টদের ভূমিকা, এআই এর ব্যবহার, পেইন মেডিসিন এর ভূমিকা, রোগীকে ব্রেইন ডেথ ঘোষণা ও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টকে এগিয়ে নিতে এ্যানেসথেশিওলজিস্টদের ভূমিকাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
ডা. মাহবুব জামান ও ডা. শারমিন এর সঞ্চালনায় বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. ইউ এইচ শাহেরা খাতুন, অধ্যাপক ডা. কাজী মেসবাহ উদ্দিন ইকবাল, অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফখরুন্নেছা, অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন, কর্নেল (অব.) রাজিয়া খানম, অধ্যাপক ডা. মান্নান প্রমুখ। এখানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএমইউ এর এ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মোস্তফা কামাল, ১৭৯তম ওয়ার্ল্ড এ্যানেসেথেশিয়া ডে ২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. হাসনুল আলম শামীম, সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন, ডা. সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা আধুনিক বিশ্বের সাথে মিলিয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এ্যানেসথেশিয়া এবং এর সকল সাব স্পেশিয়ালিটির আরো উন্নয়ন ও প্রসারের তাগিদ দেন। তারা বলেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ্যানেসথেসিওলজি একটি অপরিহার্য শাখা। বর্তমানে এ্যানেসথেসিওলজিস্টগণ শুধুমাত্র ব্যাথামুক্ত শল্য চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ না থেকে মুমূর্ষ রোগীর নিবিড় পরিচর্যা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা নিরাময় এবং নিরাময় অযোগ্য রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সফলতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। আধুনিক শল্য চিকিৎসার অগ্রদূত এ্যানেসথেসিওলজিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসার মানদ-ে উন্নীত করার প্রয়াসে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এ্যানেসথেসিওলজিস্টস ক্রিটিকেল কেয়ার এন্ড পেইন ফিজিশিয়ানস এর পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পাদনা: ডা. সাইফুল আজম রঞ্জু। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।