বিএমইউতে গ্লোবাল ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) দিবস ২০২৫ উদযাপিত

আগামী দিনের সুন্দর পৃথিবী গড়তে নবজাতকদের সুস্থ রাখতে হবে,

জীবন রক্ষায় ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ারের মতো সহজ গবেষণায় মনোযোগ দিন: বিএমইউ ভাইস চ্যান্সেলর

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম নবজাতকদের যতœ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আগামী দিনের সুন্দর পৃথিবী গড়তে নবজাতকদের অবশ্যই সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও গণমাধ্যমকে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। গ্লোবাল ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার দিবস ২০২৫ আয়োজিত নানা আয়োজন বিশ্বব্যাপী অপরিণতসহ সকল নবজাতকদের জীবন রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এটা বিশ্বব্যাপী গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতি অপরিণত নবজাতকসহ নবজাতকদের সুস্থতা ও জীবন রক্ষা ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসে বিশেষ অবদান রাখছে। কেএমসি পদ্ধতি কত সহজ গবেষণা কিন্তু নবজাতকদের জীবন রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাই জীবন রক্ষায় ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ারের মতো সহজ গবেষণা মনোযোগ দিন। অর্থাৎ এমন গবেষণায় মনোযোগ বেশি দিতে হবে যা সহজ কিন্তু রোগীদের জীবন রক্ষাসহ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন ও রোগ প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। আজ বৃস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ইং তারিখে বিএমইউর বি ব্লকের সামনের ফোয়ারা থেকে গ্লোবাল ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বের হওয়া র‌্যালিপূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো “ ইন ইউর আর্মস, আই থ্রাইভ (In your Arms, I Thrive”।

এসময় বিএমইউ এর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অঅধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নবজাতকদের ঝুঁকিপূর্ণ জীবন রক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সচেতন হতে হবে।

র‌্যালিতে বিএমইউর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক (নিওনেটোলজি) বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্টবৃন্দ, আইসিডিডিআরবি এর বিজ্ঞানীগণ অংশ নেন।

র‌্যালি শেষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে নবজাতকদের যতœ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মুত্যুহার রোধে জনসচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।  

উল্লেখ্য, অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা একটি শিশুর জীবন রক্ষায় প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া একটি সফল চিকিৎসা সেবা। প্রাণীদের মধ্যে ক্যাঙ্গারু যেভাবে তাঁর জন্ম নেয়া অপরিণত বাচ্চাকে তার বুকের থলের ভেতরে আগলে রেখে মাতৃদেহের উমে বড় করে তুলে সেই কৌশলকে অনুসরণ করে এই পদ্ধতিটি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে জন্মের পর নবজাতককে মায়ের কাছে রেখে বিশেষ করে মায়ের ত্বকের সাথে নবজাতককের ত্বক মিশিয়ে নবজাতকের যতœ নেওয়া হয়।
ছবি: মোস্তফা। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।