জাতীয় পর্যায়ে গুণী শিক্ষক এর সম্মাননা পেলেন  বিএমইউ এর সম্মানিত শিক্ষক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন)  অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

জাতীয় পর্যায়ে গুণী শিক্ষক এর সম্মাননা পেলেন বিএমইউ এর সম্মানিত শিক্ষক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

07 Oct, 2025 11:00 AM - 07 Oct, 2025 11:30 AM |

জাতীয় পর্যায়ে গুণী শিক্ষক এর সম্মাননা পেলেন 
বিএমইউ এর সম্মানিত শিক্ষক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) 
অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫ এ জাতীয় পর্যায়ে গুণী শিক্ষক এর সম্মাননা পেলেন বিএমইউ এর সম্মানিত শিক্ষক, প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ (Professor Dr. Md. Abul Kalam Azad)। চিকিৎসা শিক্ষার উচ্চ পর্যায়ে অসামান্য অবদান রাখায় তাঁকে এই সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ বছর দেশব্যাপী প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১২ জন গুণী শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।  ৫ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখ, রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গুণী শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা  অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম ফায়েজ স্যারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জাতীয় পর্যায়ে গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় বিএমইউর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ অক্টোবর, সোমবার, গুণী শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্যারকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।  

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এঁর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।   

অধ্যাপক ডা. মোঃ  আবুল কালাম আজাদ প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তাঁর বাবা অধ্যাপক ডা. আব্দুল করিম মোল্লা ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ডা. আজাদ মেডিসিনে ২০০১ সালে এফসিপিএস ডিগ্রি এবং এএসএইচএবি মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। তিনি ফেলো অফ রয়েল কলেজ অফ এডিনবার্গ (এফআরসিপি) ও ফেলো অফ রয়েল কলেজ অফ লন্ডন অ্যাওয়ার্ডধারী চিকিৎসক। তিনি ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ফিজিওলজি এন্ড ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটি থেকে ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রিতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত হওয়ায় প্রফেসর আব্দুর রহমান মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

অধ্যাপক ডা. আজাদ আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিসিয়ান্স (এমএসিপি), বিএসএমএমইউ’র আইআরবি এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিন, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ইমাজেন্সি মেডিসিন এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রফেসর আব্দুল করিম মোল্লা দাতব্য আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অফ ফিজিসিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিন, বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটি এর আজীবন সদস্য। তিনি বিসিপিএস এর মেডিসিন অনুষদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ইন্টারন্যাশাল এ্যাফেয়ার্স কমিটির সাবেক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ডা মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর দেশ বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে ৬০টিরও অধিক পাবলিকেশন রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে এফসিপিএস, এমসিপিএস, এমডি, ডিপ্লোমা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা, এফসিপিএস মেডিসিন ইন কলেজ অফ ফিজিসিয়ান্স এন্ড সার্জনস, পাকিস্তান এবং এমআরসিপি (ইউ.কে) এর পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

কর্ম জীবনে তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে প্রশিক্ষণার্থী, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সিনিয়র রেজিস্ট্রার এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন বিষয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএমইউতে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনা করাসহ বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষার শিক্ষকতার মহতী পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
 
সম্পাদনা: ডা. সাইফুল আজম রঞ্জু। ছবি: শামীম আহম্মেদ ও মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।